স্বাগতম ! আগের পর্বগুলোতে দেখেছি
হ্যাকিং নিয়ে প্রকৃত ধারনা নেই অধিকাংশ মানুষেরই! আর তাই এসব নিয়ে মানুষের কৌতুহলের যেমন সীমা নেই
, ঠিক তেমনি এ নিয়ে এর সাথে যারা জড়িত তাদেরও হয়রানির অভাব নেই। আবার ঠিক এ
অজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়ে একদল (হকার) চালিয়ে যায় তাদের মানুষ ঠকানো কাজ কারবার। যার
বেশির ভাগই ফেসবুক রিলেটেড। অদ্ভুদ অদ্ভুদ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। বিভিন্ন
পেইজে এডমিন এ থাকায় অনেক অদ্ভুদ অদ্ভুদ অভিজ্ঞতা হয়েছে!
কিছু মানুষ হ্যাকিং এর সাথে তাদের ব্যক্তিগত সমস্যাকে জড়িয়ে
ফেলেন! কেন এরকম করে্ন সেটা আমার জানা নেই। ব্যাপার গুলো এরকম যে, কেউ উনার টাকা
মেরে দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশান নেওয়ার অনুরোধ, কেউ তার কাজিনের নামে ফেইক
আইডি খুলেছে, সেই আইডি হ্যাক বা অ্যাকশান
নেওয়ার অনুরোধ, বেশীরভাগ হলো শিখানোর অনুরোধ, বিনিময়ে টাকার প্রস্তাব! আর কেউ কেউ আছেন
তার বয়ফ্রেন্ডের আইডিতে কি হয় দেখতে চান, আবার কেউ চান তার গার্ল ফ্রেন্ডের আইডিতে
কার সাথে কথা বলেন, কি কি করেন এসব দেখার অনুরোধ। এ ধরনের কাপল গুলোকে বলব,
নিজেদের ব্যাক্তিগত সমস্যা নিজেরায় সমাধান করুন। কেমন রিলেশনে জড়ান যে খানে কেউ
কাউকে বিশ্বাস করেন না? যেখানে সন্দেহ নামক জিনিষ আছে সেই খানে কোন দিন কারো সাথে রিলেশান টিকে থাকেনা। সন্দেহ না করে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস
করুন। তার পর ডিসিশান নিন!!! প্রেম ও করবেন, আবার সন্দেহ ও করবেন এটাতো হতে পারে
না। দুই দিকেই মজা নিলে তো আর হবে না। মাঝখানে কিছু মানুষকে হয়রানী না করলেই কি
নয়?
বাইদ্যাওয়ে আরো কিছু অদ্ভুদ ঘটনা দেখেছি,
শেয়ার করার জন্য ইচ্ছা করছে কিন্তু সে এক বিশাল অভিজ্ঞতা। গরুর রচনা লিখতে
হবে। আর কিছু চেতনাবাদী মানুষ আছেন যারা
সব কিছুতেই হ্যাকিং হ্যাকিং করেন। এখানেও কিছু মানুষের ভুল ধারনা আছে। ধরুন
ইন্ডিয়া প্রতিনিয়ত সীমান্তে আমাদের মানুষ হত্যা করছে। আর তার বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা
সাইবার যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ ও বন্ধ হয়নি মানুষ হত্যা। আজো পাইনি আমাদের ন্যায্য
হিস্যা। জিম্মি হয়ে আছি আমরা।
চেতনাবাদীদের কেউ কেউ সব কিছুতেই হ্যাকিং কে অস্ত্র মনে করেন। এটা হলো কেন?
সাইট হ্যাক করেন? ঐটা হলো কেন তাদের সাইট হ্যাক করেন!!! ভাই থামেন!!! ……………………………………………………………………………………………………………………………….. বাস্তবতা হলো সাইট হ্যাক করে প্রকৃত সমাধান
কখনোই সম্ভব না। হ্যাঁ, হ্যাকিং করে প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু যুদ্ধ না। ২০১২
সালের সাইবার যুদ্ধ করে আমাদের প্রতিবাদ আর ঘৃনা প্রকাশ করতে পেরেছি। তাদের বোঝাতে
পেরেছি আমরাও তথ্য প্রযুক্তিতে কোন অংশে ইন্ডিয়ার চেয়ে পিছিয়ে নেই। আমরা
ফ্রীল্যাঞ্চিং এ তাদের পিছনে ফেলেছি অনেক আগেই। সুতরাং চেতনাবাদী যারা আছেন তারা দয়া করে
বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করবেন। হ্যাঁ, যারা হ্যাকার বা হ্যাকিং গ্রুপ আছে, যারা
প্রতিবাদ করছে তারা তাদের কাজ করছে (সুবিধাবাদী/ল্যামারদের কথা বাদে প্রকৃতদের কথা
বলা হচ্ছে) তাদের অবশ্যই ধন্যবাদ দেওয়া যায়। তারা তাদের জায়গা থেকে যতদুর সম্ভব
করে যাচ্ছে। কিন্তু এতে কি সমাধান আদৌ সম্ভব? প্রশ্ন থাকল।
চেতনাবাদীদের এটাই বলব, সব কিছুতেই
হ্যাকিং কে টেনে আনবেন না। এর জন্য প্রয়োজন রেভুল্যাশন! নিজেরা ঘরের কোণে বসে বসে
শুধু হ্যাকারদের বললেই হবেনা, নিজেদের ও কিছু করতে হবে। ঘরে থেকে বের হোন।
প্রতিবাদ করুন। রাস্তায় নামুন তাহলেই বুঝব আপনারা চেতনাবাদী! কিন্তু ঘরের কোণে
বসে, এই পেইজ, সেই পেইজ, গ্রুপে গিয়ে যদি বলেন , ভাই, ভারতের বাতাসে বাংলাদেশের
গাছ নড়ল কেন? ওদের সাইট হ্যাক করেন। তাহলে ধরে নিতে পারি আপনি সুবিধাবাদীদের একজন।
জনমত তৈরি করুন, রাস্তায় নামুন! অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন!
ভারতকে আমি আপনি সবাই ভীষন ঘৃনা করি।
কিন্তু কয় জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব আপনার আমার ঘরে স্টার জলসা, স্টার প্লাস
বন্ধ আছে? আপনার মা- বোনরা দেখে না? ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি লালন এবং ধারন করে না? কয়
জন বলতে পারবেন আপনার ঘরে কেউ হিন্দি সিরিয়াল না দেখে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলের
কোন ভাল প্রোগ্রাম দেখেন? কয় জন বলতে পারবেন না আপনার ঘরে সানী লিয়নের পিংক লিপ্স বা বেবী ডল চলে না? জানি পারবেন না? তাহলে কিসের যুদ্ধ করব
আমরা? যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা ঘরে সে যুদ্ধ সাইবারে করলে তার ফলাফল কত টুকু হয় তা
তো জানা হয়ে গেছে? তাই না? তাই বলে কি আমরা থেমে থাকব? চুপ করে থাকব? নো!!!
নেভার!!! আমরা আমাদের কাজ , যার যত টুকু ক্ষমতা তা দিয়ে করা যাব। তাতে লাভ হোক আর
না হোক। কিন্তু যারা আছেন সব কিছুতেই হ্যাকিং কে জড়িয়ে ফেলেন তাদের বলব, বাস্তবতা
বুঝতে। আগে নিজের ঘর সামলান, আপনার মা/ বোন কে বোঝান। যদি পারেন তাহলেই আপনি
বিজয়ী!
বাংলার মাটি হোক, রেন্ডিয়ান সংস্কৃতি
মুক্ত! তাদের নগ্ন সংস্কৃতির আগ্রাসন মুক্ত, দুর্গন্ধময় সিরিয়াল মুক্ত! ঘৃন্যিত পাখি
ড্রেসের পাখি মুক্ত! আর সুবিধাবাদী ভারতীয় দালাল মুক্ত!
(চলবে…..)
আগের পর্ব
আরো জানতে চাই,আরো বুজতে চাই।যত পড়ছি ততই জানার ইচ্ছা বাড়ছে।মনে হচ্ছে এতদিন এ কেও সত্য কথা বলছে।কেও সঠিক পথ দেখাচ্ছে।
ReplyDelete