Wednesday, October 22, 2014

অনুতাপ ( ছোট গল্প )





মাথাটা প্রচন্ড ধরেছে, সারা শরীর তীব্র ব্যাথা! তার উপড় মাতলামী তো আছেই! বার বার বিছানা থেকে ঢলে পড়ে যাচ্ছে সাব্বির! নেশাটা ধরেছে বেশ বুঝায় যাচ্ছে। নেশার আধারে পাগলামী ও কম করেনি। ড্রিংসের পরিমান টা খুব বেশী হয়ে গেছে। বিপদের আভাস দেখে তাই আজ বাড়ী ফিরেনি সে। উঠছে তার পরম বন্ধুদের সাথে যারা এক সাথেই আজ ড্রিংসে ব্যস্ত ছিল! তার বন্ধুদের সাথে যোগ দিয়েছে সে। বর্তমানে তারা একটি এলাকার দু:ধর্ষ ক্যাডার বাহিনী। পেশাগত ভাবে তারা খুনের অর্ডার পর্যন্ত নেয়!!! এছাড়া ছোট খাট মারামারি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মেয়েদের নিয়ে ব্যাবসা, রাজনীতিক প্রতিহিংসায় গুলাগুলি নিত্য ঘটনা। তাদের এই ক্ষমতার পিছনে আছে এক মন্ত্রির ছায়া। তাই দিন দিন গ্রুপটি চরম ভয়ংকর হয়ে উঠছে।


সাব্বির, এক রক্ষনশীল পরিবারের বড় সন্তান। ভদ্র, মেধাবী, সল্পভাষী। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে তেমন কথা বলত না। ঘরে মা-বাবার সাথে আছে প্রিয় ছোট বোন নুসরাত। সুখী পরিবার। সাব্বির একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে। ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এ। সপ্ন দেখে বড় কিছু করার, চোখে মুখে সপ্ন ছিল তার। তার বাবা এক সরকারী চাকুরীজীবি! সপ্ন দেখতেন ছেলে কে নিয়ে! মা গৃহিনী, ছেলের প্রতি টেক কেয়ারের অভাব ছিল না। ছোট বোন, সদ্য এস.এস.সি পাশ করে ভাল একটি কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। ফ্যামিলিতে কোন ধরনের অশান্তি নেই। বলা যায় এই শহরে তাদের পরিবারটি ছিল সব চেয়ে সুখি পরিবার।


কিন্তু একদিন এক রং নাম্বারের ফোন তার জীবনটা এলোমেলো করে দেয়। রাতের খাবার শেষ করে পড়তে বসেছে হঠাৎ একটি ফোন। ওপাশে সুকন্ঠী এক জন। ভুলে কল এসেছে। এক পর্যায়ে পরিচিয় হয় তার সাথে। তার নাম রিয়া, পড়ে দেশের নামকরা একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে। আরো মজার ব্যাপার তাদের লোকেশন খুব কাছাকাছি। তাই প্রতি রাতে তাদের আলাপটা জনতে লাগল। এভাবেই রিয়া নামের মেয়েটির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে সাব্বির। এর পর আসে দেখা করার জন্য অনুরোধ। ঠিক হলো হাতির ঝিলে দেখা হবে তাদের। এজন্য রিয়া পড়বে টুকটুকে লাল থ্রি পিস জামা, আর সাব্বির পড়বে ডীপ ব্লু কালারের টি-শার্ট সাথে জিন্স। টাইম ঠিক করা হলো বিকাল ৫টায়।


নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত ড্রেস পড়ে হাজির হলো সাব্বির। তবে সে দুর থেকে পর্যবেক্ষন করার চেস্টা করবে। জীবনে এই প্রথম কোন মেয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে সাব্বির। বরাবরের মতই মেয়েদের প্রতি অসম দুর্বলতা তার। তাই একধরনের সংকোচ বোধ তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। কেমন জানি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়াত মত অবস্থা। লাল ড্রেসের কাউকে খুজছে তার অনুসন্ধানী চোখ! হঠাৎ এমন একজন কে চোখে পড়ল তার। কিন্তু এই কি সেই মেয়ে? জানার জন্য তার সেলে ফোন দিল !!! অদ্ভুদ, মেয়েটি ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে তার সেল ফোন বাহির করছে। যতটা কল্পনা করেছে তার চাইতে বেশী সুন্দর। যেন আকাশ থেকে নেমে আসা কোন পরি!!!

-হ্যালো, তুমি কোথায়, দেখতে পাচ্ছি না কেন?
-খুজে দেখো।
-এত হেয়ালী করো না, সামনে আসো।
-দেখো, আমার ভয় করছে, আমি.... মানে....
-হয়েছে, আমি দেখেছি তোমায়, সামনে আসো...
সেই মুহুর্তটি যেন এক অদ্ভুদ শিহরন বয়ে গেল সাব্বিরের মনে প্রানে! এই প্রথম কোন মেয়ের চোখাচোখি হলো সে!!!


এর পর ঘুরাঘুরি, অনেক ভাল সময় কেটেছে তাদের। একদিন রিয়ায় তাকে প্রপোজ করে আর তাতে চোখ বন্ধ করে সাড়া দেয় সাব্বির। রিয়া কেমন জানি উগ্র ধরনের। মোবাইলে ফ্লেক্সি হতে শুরু করে, এটা ওটা নিয়ে খুব আগ্রহ তার। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হওয়ায় সাব্বির রিয়ার অনেক কিছু পুরন করতে হিমসিম খেত! তার পরেও চেস্টা করত। এক সময় সাব্বির শুধু রিয়ার মনোযোগ পেতে প্রচুর খরচ করতে লাগল। ঘরে মিথ্যা বলে টাকা নিত, এর ওর কাছে ধার দেনা করে খুশি রাখত তার জীবনের প্রথম ভালবাসাকে। রিয়া কে সে তার সব কিছু দিয়ে ভালবাসে তাই অনেক নিচে পর্যন্ত নামতে হয়েছে তাকে। এভাবে প্রায় বছর খানেক চলল। ফ্যামিলি তে তার এই স্পস্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করে তার বাবা। মায়ের চোখকে ফাকি দিতে পারেনি সে। এ নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই খারাপ বিহেভ করত সে। একদিন সাব্বিরের ঘরে টেবিল এ বসে কি যেন খুজছিল তার ছোট বোন নুসরাত। কিন্তু সে কেন না বলে তার ঘরে ঢুকল এই নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটাল সে!!! প্রচন্ড রাগের মাথায় সজোরে থাপ্পর মেরে বসে তার ছোটবোন কে!!!! নুসরাত কাঁদতে কাঁদতে তার রুমে চলে গেল। এদিকে হতাশায় আর অনুতাপে একেকের পর এক সিগারেট ধরাচ্ছে সাব্বির। হতাশাকে চাপা দেওয়ার চেস্টা!!! না এভাবে চলবে না, রিয়াকে আজকেই ফাইনাল ডিসিশান দিতে হবে। ওদের ফ্যামিলি তে বিয়ের প্রপোজাল পাঠাতে চায় সে। এই কয় দিন রিয়ার মতি গতি ভাল লাগছেনা তার। ফোন প্রায় সময় ওয়েটিং পাওয়া যায়। এই নিয়ে প্রতিদিন ঝগড়া হয় তাদের। আজ ফাইনাল ডিসিশান চাইবে সে। কিন্তু ফোন তো ঘন্টা খানেক ধরেই বিজি!!! রাগে গিজ গিজ করল সাব্বির, ফোন টা আছরে ফেলে দিল সে!!!


এর পর দিন রাতে সাব্বিরের ফোনে এক অপরিচিত ফোন কল....
-হ্যালো লাভার বয় মিস্টার সাব্বির!!! হাউ আর ইউ???
-কে বলছেন আপনি? আর লাভার বয় মানে??? হোয়াট ননসেন্স! হু আর ইউ???
- ও!!! এত রাগ করো কেন প্রেমিক! রিয়ার সাথে শুধু প্রেম করার জন্য অনুমতি ছিল, বিয়ের জন্য নয়!!! ইদানিং তুমি নাকি বিয়ের জন্য তোর জোর শুরু করেছ? কিন্তু আমি দু:খিত মিস্টার তোমার এই সপ্ন কোন দিন পুরন হবে না!!! গুড বাই মিস্টার লাভার বয়!!!!! হাহাহাহাহাহা....
-বাস্টার্ড!!!! হু আর ইউ!!! কথা বল! তুই কে??? কাপুরুষ কোথাকার!!!! ফোন টা রেখে দিল ওই পাশের আগন্তুক!!!


পাগলের মত হয়ে গেল সাব্বির!!! কি শুনছে এসব!!! তার মানে সে ট্র্যাপের শিকার!!! পাগলের মত আবার ফোন দিল রিয়ার নাম্বারে!!! কিন্তু ভেসে উঠল মেয়েলী কন্ঠে "দু:খিত এই মুহুর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া...."


রাগে দু:খে সাব্বির পাগল হয়ে যাচ্ছে!!! সে এত দিন একটি ট্র্যাপের শিকার হয়েছিল! কিছুই বুঝেনি সে!!! মিথ্যা প্রেমের অভিনয়ে অনেক কিছু হারিয়েছে সে! টাকা পয়সা, দামী মোবাইল গিফট, শপিং, টাকা ধারের কথা বলে বিশাল অংকের টাকা নেওয়া!!!!! মাথায় যেন বাজ পড়ল তার!!! টলে পড়ল বিছানায়!!! জ্ঞান হারাল!!!.....


ঢাকা শহরে এরকম প্রতারনার শিকার হচ্ছে অসংখ্য যুবক! একটি প্রতারক চক্র সুন্দরী মেয়ে দের দিয়ে এই ধরনের ব্যবসা করে! এজন্য এই চক্রটি আগে থেকেই কারো পারসোনাল ডিটেইলস ইনফো নিয়ে থাকে। তার পর রং নাম্বারের দোহায় দিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে!!! এর পর হাতিয়ে নেয় টাকা পয়সা সহ অনেক কিছু! চক্রটি প্রতি নিয়ত পর্যবেক্ষনে রাখে তাদের টার্গেটকে!!! অনুসরন করে তাদের প্রতিটি মুহুর্ত!!! বিপদ দেখলেই এভাবেই তারা সরে পড়ে! এক টার্গেটের জন্য এক সীম ব্যাবহার করে প্রতারক চক্রটি!!!!


পরের দিন সকালে উঠে সাব্বির কাকে কি বলবে, কার কাছে সাহায্য চাইবে বুঝতে পারে না। ফোন দিল তার এক পুরান সহপাঠি কে। দেখা করে সমস্থ কথা বলল। তার বন্ধু একটি রাজনৈতিক দলের ক্যাডার। সাব্বির কে বুঝিয়ে বলল এই প্রতারক চক্রের ব্যাপারে কিছুই করা সম্ভব না। সাব্বির লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারেনা! আস্তে আস্তে তার জীবনের এই চরম ভুলকে ভুলে যাওয়ার জন্য জড়িয়ে পড়ে তার বন্ধুর সাথে। আস্তে আস্তে নেশা, চাঁদাবাজি, ইভ টিজিং এ জড়িয়ে পড়ে সে! এটায় যেন তার পৃথিবী! প্রতিদিন রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করত সাব্বির! সাথে থাকত তার বখাটে বন্ধুরা!!! এভাবে দিন দিন নস্টের পথা পা বাড়াচ্ছে সে!!!


ইভ টিজিং সাব্বিরের এখন ডেইলি রুটিন!!! এক মেয়ে তাকে জীবনে চরম ধোকা দিয়েছে, তার সাজানো জীবন এলো মেলো করে দিয়েছে, তাই মেয়েদের প্রতি চরম ঘৃনা থেকেই সে বেছে নিয়েছে এই কাজটি। এখন এই কাজেই সে অনেক মজা পায়। ভাবে এক মেয়ে জীবন নস্ট করেছে, সে আরো দশ জনের জীবন নস্ট করবে। এভাবেই প্রতিদিন সাব্বিরের হাতে অনেক মেয়ে তার ইজ্জত হারাতো, ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করত না। বেপরোয়া হয়ে উঠে সে দিন দিন। অস্ত্র নিয়ে হাটে! জীবন তার কাছে তুচ্ছ এখন। ভুলে গেছে তার সাজানো বাগানের মত পরিবারের কথা, তার ভবিষ্যতের কথা, তার ক্যারিয়ারের কথা, তার বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় সপ্নের কথা!!! তার আদরের ছোট বোনের কথা!
একদিন কলেজের সামনে সাব্বির দাড়িয়ে তার শিকারের অপেক্ষায় ছিল। একটি রিক্স্যায় এক সুন্দরী মেয়ের আগমন ঘটল! রিক্সা থামায় সাব্বির! মেয়েটি যে অসম্ভব সুন্দর তা তার চোখ দেখেই বোঝা যায়!!! মেয়েটি হিজাব পড়ে ছিল। তা খুলতে জোর করল সাব্বির। মেয়েটি অনুরোধ করছে, প্লিজ আমাকে যেতে দিন, আমার মুখ আপনি দেখবেন না প্লিজ!!! এই বলে অঝোরে কাঁদছে রিক্সায় বসা মেয়েটি!!! কান্না থামছেই না! যেন কেউ মারা গেছে!!!! কিছুটা থতমত খেলেও পরক্ষনে রিয়ার মুখ ভেসে উঠে সাব্বিরের ভাবনায়, রিয়া ও এরকম কান্না করত তাকে ম্যানেজ করতে!!! ক্রোধের আগুন ফুটে উঠে তার বুকে!!! কোন মায়া দয়া নেই তার, জোর করে মেয়েটির হিজাব টান দিল সে!!!
এর পর যা দেখল, তার জন্য প্রস্তুত ছিল না সাব্বির!!! নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না!!! এ যে..... তারই আদরের ছোট বোন নুসরাত!!!! অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে নুসরাত!!! ভাইয়া কি করলি তুই?? শেষ পর্যন্ত.....


সাব্বির পাথর হয়ে গেল! তার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেল, যেন হীম হয়ে গেছে তার সারা দেহ! এ যেন জীবন্ত পাথর!!! বিস্ময়ের সীমা নেই তার চোখে। এ কি করলাম!!! সে তখনো তার ফিলিংস বুঝতে পারছে না, ঠিক যেমন কোন দুর্ঘটনায় শরীরের কোন ক্ষত ঠিক ওই মুহুর্তে বোঝা যায় না। তখনো কেঁদেয় চলেছে নুসরাত, রিক্সা চলে গেল, ঠায় দাড়িয়ে আছে সাব্বির!!! নড়ার ক্ষমতা টুকু হারিয়ে ফেলেছে সে!!!! বুকে ফেটে আর্তনাদ বের হয়ে আসছে তার, সারা শরীর যেন বিদ্রোহ করছে, চোখ ভেংগে জলের বাধের মত অস্রু আসছে তার তার চোখে!!!


আমার আর বেচে থাকার কোন অধিকার নেই! মনে মনে ভাবল সাব্বির! এ অশম যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটায় উপায় আছে, মৃত্যু!!!! কারন এই জগত যদি তাকে চরম শাস্তি ও দেয়, সে শাস্তি বিবেকের শাস্তির কাছে কিছুই নয়। তার বিবেক প্রতিনিয়ত তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে!!! কিছুতেই মুক্তি মিলছেনা তার। তার বিবেক তাকে প্রতি মুহুর্তে শাস্তি দিচ্ছে!!! তাই সিদ্ধান নিয়েই ফেলল সাব্বির!!! আত্ম হত্যায় এখন তার মুক্তি!!!! আর কোন পথ খোলা নেই!!!


আত্মহননের চেস্টা ব্যর্থ হয়ে যায় তার কাছের এক বন্ধুর বুদ্ধিমত্তার কারনে!!! এই যাত্রায় বেচে যায় সাব্বির, এর পর শরনাপন্ন হয় এক সাইক্রিয়েস্টিস্টের কাছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনটাকে আবারো রংগিন করে তোলার চেস্টা করে যায় সে!!
এর পর কি হয়েছিল তা জানা নেই! হয়ত সাব্বির তার সপ্ন পুরন করেছে, হয়ত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবারো জীবন সংগ্রামে মন প্রান সপে দিয়েছে। তবে একটি ভুলে ভরা জীবনের সফল উপাখ্যান এখানে লক্ষ্যনীয়। 

[বি:দ্র- গল্পের নাম এবং চরিত্রগুলো কাল্পনিক, বাস্তবে কারো সাথে মিল থাকা কাকতাল মাত্র ]




মুরাল অফ দ্যা স্টোরি: 

১.সব কিছুর মত প্রেম ভালবাসাও বানিজ্যকরন হয়ে গেছে। এক শ্রেনীর চক্র এটা নিয়ে প্রতারনা করছে। তাই এসব থেকে সাবধান। কারো সম্পর্কে না জেনে বুঝে কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। নিজের সিক্স সেন্সকে কাজে লাগান, বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগান। শিক্ষা আমাদের এই বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর জন্য। যদি পড়ালেখা করে পড়ালেখা না জানা মানুষের কাছে প্রতারিত হতে হয় তাহলে সেই পড়ালেখা না করাই শ্রেয়!!! গল্পে যেমন সাব্বির বুঝতে পারেনি, সে একজন দেশের মেধাবী সমাজ হয়েও তার মেধা, বিবেক, বুদ্ধি কে সে কাজে লাগায়নি, তাই তার পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ!!!
২. যতই হতাশা আসুক জীবনে, মাদক আপনাকে সেই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেয় না, বরং বাড়িয়ে তুলে জীবনের জটিল সমীকরন। একটি জিনিষ আপনাকে মুক্তি দিতে পারে, তাহল আপনার পজেটিভ চিন্তা! সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। মাদক গ্রহন করে জীবন নষ্টের পথে পা বাড়াবেন না।
৩. ইভ টিজিং একটি সামাজিক অবক্ষয়!!! কাউকে ইভ টিজিং করার আগে অন্তত একবার চিন্তা করুন সেই মেয়েটি যদি নিজের বোন হত তাহলে কি হত? বা আপনার আপন কাউকে যদি অন্য কেউ এরকম করত আপনি কি করতেন? পরের ক্ষেত্রে এসব কাজ করার আগে এধরনের চিন্তা করে না সে সব বীর পুরুষরা। কিন্তু যখন নিজের ঘাড়ে এসে পড়ে তখন বুঝতে পারে তার যন্ত্রনা কত খানি।
৪.পৃথিবীতে একেক মানুষ একেক রকম। হাতের পাচ আংগুল সমান হয় না। তাই সবাই যে ভাল তাও না, আবার সবাও যে খারাপ তাও না। তাই এক জনের ভুলের শাস্তি আরেক জনকেকে দিতে যাবেন না।
কস্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মোবাইলের বাংলা কী বোর্ড দিয়ে লিখেছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। আশা করি পজেটিভ দৃস্টিতে দেখবেন

একজন অনন্ত জলিল







অনন্ত জলিল!!! বাংলাদেশে খুব পরিচিত একটি নাম। ফেসবুকের কল্যানে তার পরিচিতি ব্যাপক, কারন ফেসবুকে জলিল কে ট্রল করেনি এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। বরং অনন্ত জলিল কে নিয়ে ট্রল করাটায় সবার ফ্যাশন হয়ে গেছে, যেন ট্রল না করাটা সেকেলে, আর জলিল কে নিয়ে ট্রল করাটা স্মার্টনেসের বহি:প্রকাশ!!! তাই কেউ জেনে না জেনে দিন রাত এই মানুষটিকে নিয়ে আমরা কত হাসি টাট্টা করছি। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো, এই মানুষটি সব কিছু জেনে শুনেও এসবে কান দেয়নি তার নেচার অনুযায়ী সে কাজ করে গেছে!!! কে কি বলল না বলল তাতে কান না দিয়ে কাজ করে গেছে, তাতে উপকৃত হয়েছে দেশ, দেশের মানুষ!!!


দেশ ও দশকে কি দিচ্ছে অনন্ত জলিল:


বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে রীতিমত ঝড় তুলেছেন তিনি। চিরাচরিত গাঞ্জাটি মার্কা, সল্প বাজেটের বাংলা (পর্ন) ছবি, চিরাচরিত সেই বড় লোক গরীবের ভালবাসার কাহিনী, ফোর্থ ক্লাস প্রিন্ট, কে ছাপিয়ে ভাল প্রিন্ট এবং থ্রি ডি মুভির মত ব্যয়বহুল এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় অসম্ভব চিন্তা করেছেন তিনি। থ্রি ডি মুভির চিন্তা তার মাথা থেকেই বের হয়েছে বাংলাদেশের নোংরা চলচিত্রকে আবার আলোয় ফিরাতে অনন্তের ভুমিকা সত্যি প্রশংসনীয়!!! নতুন পথ দেখিয়েছে দিক ভ্রান্ত বাংলাদেশের চলচিত্রকে!!! আশা করা যায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মুভি গুলো চিরাচরিত সেই গাঞ্জাটি মুভির পরিবর্তে হলিউড এর মত একশন, গ্রাফিক্স, থ্রিডি মুভি বের করতে পারবে। নিজের
খরচে এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম চালান
মানুষটা । সীমাহীন মমতায় প্রবীন
অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের
পাশে দাড়ান ।

সিনেমা জগতের পাশাপাশি তার আছে আরেকটি পরিচয়, অনন্ত একজন গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী। জেনে অবাক হবেন দেশে যেখানে প্রায় সব গার্মেন্টসে শ্রমিক ধর্মঘট হয়, আন্দোলন হয়, জালাও পোরাও হয়, সেখানে অনন্ত জলিলের গার্মেন্টস পাহাড়া দেয় খোদ সেই গার্মেন্টসের শ্রমিকরাই!!! কারন একটিই অনন্ত আসলেই একজন বড় মাপের মানুষ!!! সুখে দু:খে সব সময় পাশে দাড়িয়েছে, টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে, বেতন বোনাস দিয়েছে।
দেশের রুপালী জগতের অনেকের খারাপ সময়ে পাশে থেকে, অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন যেখানে পুরো একটি ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি আছে, সেখানে তারা নির্বিকার! কত বড় বড় অভিনেতা আছে যারা অসুস্থতার সময়, জীবনে খারাপ সময়ে তাদের সহকর্মীর পাশে দাড়ায় নি!!! এই একটি মানুষই সব সময় পাশে দাড়িয়েছে।
সম্প্রতি তিনি পাশে দাড়িয়েছেন জটিল রোগে আক্রান্ত ১২ বছরের শিশু সুজনের পাশে। তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা অসম্ভব তাই পাশে দাড়ালেন অনন্ত আর নিজ খরচে ভারতে পাঠালেন দরিদ্র ঘরের এই শিশুকে। এছাড়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আহনাফের ও পাশে দাড়ান তিনি, এরকম আরো কত মহত্তের ঘটনা আছে যা সব বর্ননা করা সম্ভব না। শুধু এটুকুই বলব অনন্ত এক মহান হৃদয়ের অধিকারি!!! মহৎ মানুষ। রুপালী জগতের নায়ক নয়, এক জন সত্যি কারের নায়ক এই অনন্ত জলিল!!!!


পরিশেষে: আমরা গুনীদের সম্মান করতে পারিনা, মুল্য দিতে পারিনা বলেই আমাদের দেশে মেধাবীরা এদেশে টিকতে পারেনা। দেশের মেধা পাচার হয় অন্য দেশে। কবে আমরা মেধাবী, ভাল মানুষ, সৎ মানুষ কে মুল্যায়ন করতে শিখব? মুলত অনন্ত কে সবাই হাসে তার ভাষা গত কিছু সমস্যার কারনে, একবার চিন্তা করুন, বুকে হাত দিয়ে ভাবুন আপনি ভুলের উর্ধে কিনা? বাংলা ১২ মাসের নাম জিজ্ঞাসা করলে হা হয়ে থাকবেন এরকম মানুষের অভাব নেই, তাহলে একটি মানুষকে নিয়ে এত হাসাহাসি কেন? আমরা কি পারিনা একজন মহৎ হৃদয়ের অধিকারি, মানুষের সেবক, পরোপকারী, দরিদ্র মানুষের বিপদের সাহায্যকারী, এই মানুষ কে তার যোগ্য সম্মান করতে? আমি একজন অনন্ত জলিল কে নিয়ে কথা বলছিনা, আমি বলছি এক মহান মানুষ, এক মহান হৃদয়ের মানুষ অনন্তের কথা, যারর কাজ দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে!!! স্যালুট মি. অনন্ত জলিল
অনন্ত জলিলের প্রতি: মি. অনন্ত, প্রথমেই ব্যক্তি গত ভাবে আমি ক্ষমা চাচ্চি, তোমার মত মানুষকে নিয়ে আমরা ট্রল করি, হাসা হাসি করি, ফেসবুকে কমেন্টের হাসির খোরাক করি। যদিও তোমার মত আমরা হতে পারিনা। কারো বিপদে পাশে দাড়াতে পারিনা, অর্থের পিছনে ছুটি কিন্তু সেই অর্থ ভাল কাজে, কারো উপকারে লাগায় না। অনন্ত, তুমি সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছ, যার যা ইচ্ছা হয় বলুক, তুমি এগিয়ে যাও। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে, বাংলাদেশের পোষাক শিল্পে একজন হিরো, এখন দেশ সেরা সফল ব্যাবসায়ী হিসাবে তোমাকে বাংলাদেশের আরো দরকার। তুমি প্রমান করে দাও, "অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্তের কাজ " শুধু কথায় না কাজে!!!! Just Keep IT Up!!!


Sunday, September 28, 2014

একটি উপন্যাস লিখার চেষ্টা













অন্ধকার ঘরে একা একা কাগজের টুকরা ছিড়ছি। মাথা কেমন ঝিম ঝিম করছে। ইলেক্ট্রিসিটি গেছে সেই কবে, আসার কোন নাম গন্ধ নেই, কি আজব দেশেই না বাস করি, প্রচন্ড রাগ হলো, দেশটা গেল একে বারে রসাতলে। মিস্টি এক বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গেল। বাইরে খুব সুন্দর জোৎনার আলো। জানালা দিয়ে সেই আলো পড়ল আমার শরীরে। খুব একটি মায়াবী পরিবেশ, তখন ভাল লাগতে শুরু করেছে। জানালার ফাকে উপভোগ করতে লাগলাম সেই ভরা জোৎনাকে। অদ্ভুত সুন্দর এক মনোরম পরিবেশ। 





চিন্তা করতে থাকলাম এই সিচুয়েশনে কি করব? অনেকদিন খেটে একটি উপন্যাস লিখেছি, এটার বিষয় হ্যাকিং নিয়ে হওয়ায় কোন প্রকাশক তেমন মাথায় আনছেন না।কত জনের কাছে ধড়না দিলাম, কিন্তু তাদের ব্যাবসািয়ক চিন্তার কারনে বার বার মার খেতে হচ্ছে।  তাহলে কি এই সমাজে হ্যাকারদের খারাপ চোখে দেখে? কেন, হ্যাকার রা তো অপরাধী না, এট লিস্ট সবাই তো না। একটা সুন্দর ফুলের বাগানে এরকম ক্ষতি কারক পোকা মাকর থাকবেই। তাই বলে দেশের একটি মেধাবী সমাজকে কেন অবহেলিত হবে? যারা দেশের জন্য রাত জেগে সাইবার স্পেস পাহারা দিয়েছিল, যারা নিজেদের মূল্যবান সময় নস্ট করে বিদেশি হ্যাকারের আক্রমনের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল, যারা বাংলাদেশের সাইবার স্পেসের আর্মির মত একের পর এক অপারেশন করেছিল তাদেরকে দেশ এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে আশা করিনি। যদিও আমি তাদের কেউ নই, কিন্তু তাদের সেদিনের ভূমিকার কথা ভুলিনি। আমি এক জন সাধারন লেখক। লিখেই আমার জীবন চলে। একদিন মনে হলো আমার উপান্যাসের বিষয় হতে পারে হ্যাকিং! কেন নয়। একজন হ্যাকারের জীবন অন্য ১০ টি মানুষের স্বাভাবিক জীবনের চেয়ে আলাদা। তাদের সাথে মিশে তা বুঝতে আমি দ্বিতীয় বার ভুল করিনি। সেই দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম তাদের দেশ প্রেমের শক্তি, যা আমাকে শুধু মুগ্ধই করেনি, কৃতজ্ঞটার বাঁধনে আবদ্ধ করেছে। তাই কিছু দিন তাদের কমিউনিটির সাথে মিশে দেখেছি, আর অবাক হয়েছি। বুঝে নিয়েছি অনেক কিছু। তাদের যে চাপা কস্ট আছে, সে কস্ট কোন দিন তারা প্রকাশ করে না। তাদের মাঝে অদ্ভুদ কিছু ক্ষমতা আছে যা দিয়ে তারা খুব তাড়াতাড়ি মানুষকে পটিয়ে ফেলে।তাই আমার উপন্যাসে তুলে ধরেছি একজন হ্যাকারের জীবন। তার পারিপার্শিক অবস্থা, তার হাসি, কান্না, পরিবার – পরিজন ইত্যাদি। আমি নিশ্চিত আমার আমার এই উপন্যাস প্রকাশিত হলে দেশে হইচই পরে যাবে।  





কিন্তু প্রকাশকরা তা বুঝতে চান না ! কেন তারা  বুঝতে চান না তাদেরও জীবন আছে, গল্প আছে, ভালবাসা আছে। তাহলে তাদের নিয়ে উপন্যাস ছাপতে প্রকাশকের সমস্যা কোথায়। বিড় বিড় করে গালি দিলাম। সব প্রকাশক শালারা ভন্ড। ২ পয়সার প্রেমের কাহিনী তাদের কাছে অনেক বিরাট কিছু আর দেশের সাইবার যুদ্ধাদের গল্পের প্রতি তাদের কোন সম্মান নেই। সব শালাদের সাইট হ্যাকাইয়া তাদের ব্যাবসার লাল বাত্তি জালানো উচিত!!! মেজাজটা হঠাৎ গরম হলো। পানির গ্লাসটাও খুঁজে পাচ্ছি না। এদিকে অন্ধকার দেখছি সব! রাগে নিজের মাথার চুল ছিড়লাম। এমন সময় বেজে উঠল ফোনটা। একে তো মেজাজ খারাপ, কে ফোন করল এমন সময় রাগে গিজ গিজে করে ফোনটা পিক করলাম

-হ্যালো...
-জী, লেখক মি. অমুক বলছেন?
-জী বলুন
-জী, আপনি বোধহয় আমার অফিসে এসেছিলেন, আমার এসিস্ট্যান্স সব আমাকে বলেছে। আমি রাজি আপনার উপন্যাস ছাপতে, তবে কিছু শর্ত আছে।
-সত্যি!!! অনেক ধন্যবাদ তবে কি শর্ত
-আপনি কাল আমার গুলশানের বাসায় আসেন।
-ঠিক আছে।
-আর হ্যাঁ, অবশ্যই আপনার স্ক্রীপ্টটা নিয়ে আসবেন সাথে।
-ঠিক আছে , অনেক ধন্যবাদ। কাল দেখা হচ্ছে তাহলে।





ফোনটা কেটে গেল J মনে মনে খুশি হলাম যাক শেষ পর্যন্ত কাউকে পেলাম।

পরের দিন সেই প্রকাশকের বাসার দিকে রওনা দিলাম। বিশাল বাসা, দেখে অবাকই হতে হয়। বিশাল বাসার সামনে বসার সুন্দর জায়গা, আমাকে অভর্থ্যনা জানালেন তিনি। ভদ্র লোকের বয়স দেখে অনুমান করলাম ৫০ এর কাছাকাছি হবে, তবে অনেক স্মার্ট, মার্জিত পোষাকে তা কিছুটা অনুমান করতে পারছি। লোকটা দেখি পান ও খাচ্ছে, লাল ঠোট। হাত দিয়ে বসার ইঙ্গিত দিলে বসে পড়লাম।

-   বুঝলেন আমিও ভেবে দেখেছি কিছু অজানা জিনিষ আমাদের সমাজের মানুষের জানা উচিত। আপনার উপন্যাস পড়িনি , তবে আপনার উপন্যাসের বিষয়বস্তুটা আমার খুব মনে ধরেছে। পান চিবুতে চিবুতে বললেন লোকটা।
-   অনেক ধন্যবাদ, এই যে নিন স্ক্রীপ্ট।
-   ঠীক আছে, দেখা লাগবেনা। আমি আপনার লেখা প্রকাশ করব।
-   বলে কি লোকটা!!! অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। কিন্তু......
-   কোন কিন্তু নেই, এই যে আমার কার্ড, কাল চলে আসুন। আপনার অপেক্ষায় থাকব।
-   সত্যি আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।


৬ মাস পর......


অবশেষে আগামী কাল আমার লেখা উপন্যাসটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, যেখানে মোড়ক উম্মোচনে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের কিছু বড় বড় হ্যাকাররা। তাদের নাম বলতে পারছিনা তাদের নিরাপত্তার সার্থে। তবে কোন একদিন হ্যাকার রা প্রকাশ্যে দিবা লোকে হ্যাকার ট্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াবে, বাংলাদেশ সরকার, পুলিশ, র‍্যাব, সব ধরনের সংগঠনে হ্যাকারদের মত মেধাবীদের দিয়ে চালিত হবে। সরকারী সাইটের এডমিনের দায়িত্ব বর্তমান গরু গুলো কে লাত্থি দিয়ে বের করে এসব সাইবার এক্সপার্টদের তাদের কাজের প্রতি সম্মান জানানো হবে। বাংলাদেশের সাইট আর বিদেশী হ্যাকার দারা হ্যাক হবে না। বাংলাদেশের সাইবার স্পেস পড়িনত হবে এক দুর্ভেদ্য দুর্গে! গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্টেলিজেন্সে এই হ্যাকাররাই রাখবে তাদের মেধার সাক্ষর। পুলিশ, আর্মি, র‍্যাব, সরকার সবাই এই মেধাবীদের সাথে কাজ করবে। কারন আমার লেখা এই উপন্যাস মানুষের সেই ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করবে। 

আমি অনেক অনেক এক্সাইটেড! কালকের দিনটির জন্য। সময় যাচ্ছেই না। প্রতি সেকেন্ডকে মনে হচ্ছে এক একটা বছর!!! ঘড়ির কাটা এগিয়ে চলছে আর আমার হৃদস্পদন ও যেন ঘড়ির কাটার সাথে তাল মিলাচ্ছে !!! টিক!!! টিক!!! টিক!!!! 






Saturday, September 27, 2014

হার্ট হ্যাকার (হ্যাকারীয় ভালবাসা)








একদিন ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। যেতে যেতে পথে একদম নতুন একটা ফ্রেস সার্ভার দেখলাম (অসম্ভব সুন্দরী :P )। দেখে আর দ্বিতীয়বার চিন্তা করার টাইম পাওয়া গেল না। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে ভাবেই হোক সার্ভারটা আমার চাইই চাই  :P । তার পর শুরু হলো ইনফো সংগ্রহ করা, হু ইজ এ গিয়ে তার সব ইনফো নিয়ে নিলাম।(পেছন পেছন গিয়ে বাসা চিনে আসলাম ;) মোবাইল নং টা খুজে পাওয়া গেল) এর পর চলল সার্ভারের বাগ খোঁজার পালা। যেহেতু একেবারে নতুন সার্ভার তাই এক্সপ্লইডিং করা এত সহজ ছিল না  :(   দিন রাত চলল সিকিউরিটি ব্রেক করার চেষ্টা । বেশ কয়েকদিন লেগে গেলো তাও কিছু করা গেল না  :( 

বেশ কয়েকদিন পর দিন রাত চেস্টা করার পর পাওয়া গেল একটি ছোট খাট সিকিউরিটি বাগ যেটা আমার খুব পছন্দ হলো (ফোনে কথা বলা), মনে হলো এই হোল দিয়েই সার্ভারের এক্সেস নেওয়া সম্ভব :/  শুরু হলো ইঞ্জেক্ট করা, অদম্য চেষ্টা   :/ (ফোন দেওয়া শুরু করলাম ) কিন্তু কিছুতেই ইঞ্জেক্ট হচ্ছিল না  :(  প্রতি বারই 404 Not found  :( কিন্তু আমি সহজে দমে যাওয়ার পাত্র না :/ আবার চেষ্টা চালিয়ে গেলাম, এভাবে গেল ১০ দিন। ওই দিকে চলল সরাসরি সার্ভারে ঢোকার চেস্টা :/ ডর্ক দিয়ে সরাসরি ঢোকার চেষ্টা :/ (তার ইউনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, পেছন পেছন যাওয়া ) কিন্তু একি সার্ভারের এক্সেস নিতে চাইলাম আমি :O ?  :( এত কঠিন সিকিউরিটি দেওয়া  :'( তার পর ও দমলাম না , এর শেষ আমাকে দেখতেই হবে >_<

একদিন হঠাৎ কাজে সাফল্য আসল :D ইঞ্জেক্ট হয়ে গেল। এবার শুরু হলো ডাটা বেইজ নিয়ে গবেষনা :P  আফটার অল ছেলে মানুষ তো, সন্দেহ তো থাকেই তাই তার সার্ভারে অন্য কারো শেল আছে কিনা (অন্য কারো সাথে সম্পর্ক) তা স্ক্যানার দিয়ে সার্চ করা শুরু করলাম :D  আমাকে আশ্চার্য করে দিল, কোন শেল খুজে পেলাম না :D মনে মনে খুশি হলাম :D  এইবার শুরু করলাম এক্সপ্লইডিং+ এসকিউএল ইঞ্জেক্ট করাতে , আগের কাজের সুত্র ধরে কাজ এগুতে লাগল :D (ফোনে কথা শুরু হলো)  কিন্তু এডমিন টেবিল হাইড করা  :( (বন্ধুত্ব করতে রাজী, প্রেম করতে রাজি না  :(  ) এবার শুরু হলো অন্য ট্রিক্স দিয়ে হ্যাকের চেস্টা :/  । পেয়ে গেলাম নতুন ট্রিক্স :D তাকে ফোনে পাঠালাম ট্রুজান হর্স আর সে সে টোপ টা গিলল :D (গান শুনালাম আর পটে গেল ;) :v ) এর পর সার্ভারটাকে আরো কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে গেলাম :D (দেখা করলাম) ব্যাস, বাইপাস করে ফেল্লাম আগের অনেক কিছু :D । বাসায় এসে পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত সেই এডমিন প্যানেলের আইডি পাস  B| । এবার শেল ঢুকানোর পালা ;)

শেল ঢুকালাম :D কিন্তু পড়লাম আরেক মসিবতে :( এক্সেস পারমিশন নাই  :(  কি আর করা আবারো চেষ্টা চলল বাই পাসের।না বেশী কস্ট হয়নি :D অবশেষে পেয়ে গেলাম সেই পার্মিশন ;) হার্ট হ্যাক করে দিলাম নিমেষেই ;)  হার্টের ইনডেক্সে আমার ডিফেস পেজ ঝুলিয়ে দিলাম যাতে কেউ আবার সেই সার্ভারের এক্সেস নিতে চেষ্টা না করে :P  । সাথে জোন-এইচ এ মিরর ও করা হয়ে গেছে ;)  (বিয়ে রেজিস্ট্রি  ;) )

সর্বশেষ জানামতে সার্ভারের পুর্ন দখল হ্যাকারের হাতেই  আছে :P (বিয়ে করে সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছে ) কেউ ভুলেও ওই সার্ভারের দিকে নজর দিয়েন না ;) সব অপশন বন্ধ করে রাখছি  ;)  :D  8-)  :p   :v

[ব্রিঃদ্র- ইহা আমার রচিত একটি গাঁজাখুরি  কাল্পনিক ঘটনা    :3 , বাস্তবের সাথে ইহার কোন মিল নাই]

Saturday, September 20, 2014

বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্সের অফিশিয়াল মেম্বারস লিস্ট



 


আমরা বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ করছি বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্সের নাম দিয়ে অনেকেই অনেক রকম প্রতারণা করে যাচ্ছেন। এমনকি ব্যাক্তিগত ধান্দার পথ খুলে বসেছেন কেউ কেউ। যাদের কেউ ব্ল্যাক হ্যাটের অফিশিয়াল মেম্বার না। অনেকেই এই নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তিতে আছেন। তাই আমরা আমাদের সকল মেম্বারদের নাম এবং ফেসবুক আইডি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম যাতে ভবিষ্যতে আপনারা কেউ কোন প্রতারক দ্বারা প্রতারিত না হোন।

মনে রাখবেন বিডি ব্ল্যাক হ্যাটের জম্মই হয়েছিল দেশের স্বার্থে । সুতরাং আমরা কখনই ব্যাক্তিগত লাভের আশায় কাজ করি না। কোন ধরনের লেনদেনের সাথে আমরা জড়িত নই। বরং নিজের পকেটের টাকা খরচ করে তা জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দিই ( যেমন ম্যাগাজিন, প্রোগ্রামিং ক্যাম্প)। যখন দেখবেন কোন ধরনের লেনদের সাথে মানুষ বিডি ব্ল্যাক হ্যাটকে জড়াচ্ছে তাহলে চোখ বন্ধ করে ধরে নিবেন তারা প্রতারক । তাছাড়া আমাদের অফিশিয়াল মেম্বারদের নাম আর আইডি তো শেয়ার করা হচ্ছে প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকার জন্য।  আমরা ব্ল্যাক হ্যাট হলেও বাংলাদেশের জন্য আমরা হোয়াইট হ্যাট ।

আমাদের অফিশিয়াল মেম্বারদের লিস্ট দেখুন এই খানে :)

Saturday, September 13, 2014

বদলে যাব!






প্রতিদিনই ভাবি, নিজেকে নিয়ে ভাবব, নিজের জন্য একটু সময় বের করব, সার্থপর হব! খোলস থেকে বের হয়ে আসব, তারপর কংকালটা নিয়েই ঘুরে বেড়াব! আঘোছালো ব্যাচেলর লাইফ, শৃঙ্খলাহীন ছুটে চলা, খেতে পর্যন্ত ভুলে যাওয়া!!! সময় চলে যায় কিন্তু সেই সময়টা আর জীবনে আসে না

কতবার ভেবেছি, সার্থপর হবো, ভীষন সার্থপর! মানুষের মুখের উপর কথা বলে দেব, প্রয়োজনে খারাপ বিহেভ করব! কারো কথা রাখতে না পারলে বা সমস্যা থাকলে তা সরাসরি বলে দেব, সে কি ভাববে, চেষ্টা করব, এসব ভাবব না! ঠিক যেমন অনেক সময় এধরনের জিনিষ গুলো ফেস করি তখন মনে হয়, তারাই ঠিক! আমিই বেঠিক, বেমানান! বড্ড সেকেলে! অয়েল মালিশ, চাপা বাজি, চাপায় যার জোর যত বেশী সে তত সম্মানীত, মানুষের কাছে কদরটা অনেক বেশী! .......!!! যে যত ভাল অভিনেতা সমাজের চোখে, মানুষের চোখে সে সম্মানের পাত্র! শক্তের ভক্ত ... নরমের যম ব্যাপারটা এরকম। দুনিয়ায় নরমভাবে চললে, সৎ ভাবে চলতে চাইলে কেউ চলতে দেবে না! টিটকারী করবে, সুযোগ খুঁজবে! কিন্তু বিপদে কেউ এগিয়ে আসবে না!... চাকরী ক্ষেত্রেও দেখেছি চোখ বুঝে মানুষ কিভাবে উপড়ের শত অন্যায় মেনে নিয়ে চলে! নিয়তি সবাই যেন মেনেই চলে! শত অন্যায়েও মানুষের ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হয়না! বরং সে চালিত হয় তার গা বাচানো অনুভুতি নিয়ে! কিন্তু প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো নিজেই গর্তে পড়ি! তাই এসব আমাকে দিয়ে হয়নি! হবে কিনা জানিনা!... না!!! চাপাবাজ আর ইয়েস স্যার, জি স্যার বোধ হয় আমার দ্বারা হবে না আর নিজের খোলশ ছেড়ে বের ও হতে পারব না শুধুই মানুষের ঠোট কাটা কথা শুনে কষ্টই পেয়ে যাব!!! বদলাতে চাই... চাপাবাজ হতে চাই... ভাল অভিনেতা হতে চাই (সিনেমায় না বাস্তব জীবনে ) ... দেখা যাক চেষ্টা করে

#দিন শেষে মনে হয় এক ব্যর্থ সৈনিক আমার ভিতর অন্য এক আমি! খোলস ছেড়ে বের হতে উদগ্রীব!!!