Sunday, March 23, 2014

সিস্টেম ক্রাশ



সিম্পটেনিয়ার প্রধান শহর এড়িয়া-৯৩ কে ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে চারিদিকে তুমুল সতর্কতা! পুরো শহরে নিয়োগ করা হয়েছে রোবট যোদ্ধা অপারেশন আর্থ- হল রুমে জড় হল সবাই, রুমে পিন-পতন নিরবতা!  সব রোবট  সতর্ক! সবার বুকে লাল বাতির এলার্ট এলার্ম বাজছে! হেড অফ ডিফেন্স মেকানিজম রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় পুরো শহর থমথমে! যে রিপোর্টে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই  সি¤পটেনিয়া গ্রহে হামলা করতে আসছে পৃথিবীর মানুষ!!!!  এইবার নিরবতা  ভেঙ্গে  সিম্পটেনিয়া গ্রহের প্রধান রোবট এলেক্স  চেঁচিয়ে উঠল উত্তেজিত  স্বরে!

না! আমাদের এত দিনের এক্সপেরিমেন্ট এভাবে ব্যর্থ হতে পারে না! তোমরা করটা কি??? এলেক্সের এর  মুখ লাল হয়ে উঠল! বাকি রোবট মাথা নিচু করে আছে!

কিন্তু আমাদের চেয়ে মানুষের টেকনোলজী ছিল অনেক উচু মানের! তাদের কৌশলও ছিল অসাধারণ! বলল সামনের সারির একজন রোবট! – তাহলে তোমাদের রাখা হয়েছে কেন? উত্তেজিত স্বরে বলল এলেক্স!  

 -  পৃথিবী আমরা ধংস্ব করে দিয়েছিলাম! মানুষকে আমরা আমাদের গবেষনার জন্য বন্দিকরেছিলাম! তাদের মাথার ব্রেন নিয়ে আমরা পরীক্ষা করে যাচ্ছিলাম! কিন্তু একি শুনছি!!!! এলেক্সের কপালে একটু একটু ঘামতে লাগল, তার কপালে সেট করা ডিটেক্টর রেড লাইট জ্বলছে!  মাথায় রাজ্যের টেনশন আর উত্তেজনা!  প্রচণ্ড রেগে আছেন এলেক্স!



মধ্য সারির একজন গ্রিন রোবট  থট এগিয়ে আসল! থট  ষষ্ট  প্রজন্মের  অটো মেমোরাইজড রোবট!
স্যার !
রোবট থটের কথায় সম্ভিত ফিরে পেলেন  এলেক্স
- স্যার  একটা দুঃসংবাদ আছে !ভার মুখ করে বলল রোবট টা 

আর কি দুঃসংবাদ হতে পারে তাঁর জন্য !
চিন্তা করলেন এলেক্স  তাদের সব গবেষণায় যে  ব্যর্থ পৃথিবীর সব মানুষকে বন্দি করা হয়েছিল! তাদের ব্রেন নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে মানবিক গুন-¤পন্ন রোবট পৃথিবী ছিল তাদের নিয়ন্ত্রিত একটি কারখানা! যে খানে কোন মানুষের অস্তিত্ব আশা করা যায় না! পৃথিবীর সব প্রযুক্তি ছিল তাদের হাতের মুঠোয়! কিন্তু!!! আজ কি হচ্ছে এসব?

স্যার আপনি কি চিন্তিত? বলল রোবটটি
-  না, বলো, কি জানি বলছিলে?
-   স্যার একটা দুঃসংবাদ আছে! কথার পুনরাবৃত্তি করলেন রোবট থট!

হাত দিয়ে ইশারা করলেন এলেক্স! অনুমতি পেয়ে বলা শুরু করল থট!

- স্যার! কিছুক্ষন আগে আমাদের সাথে পৃথিবীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে! খুব সম্ভবত পৃথিবীতে আমাদের কন্ট্রোল ইউনিট কোন ঝামেলা হয়েছে! রাডার এও কিছু ধরতে পারা যাচ্ছে না! স্যাটেলাইটে কিছু দেখা যাচ্ছে না! এরর দেখতে পাচ্ছি! আমাদের মহাকাশ যান গুলোও এখন নিয়ন্ত্রনের বাইরে! পৃথিবীতে আমাদের ল্যাব এসিস্ট্যান্ট রোবট সি¤িপ এর সাথেও কোন রকম যোগাযোগ করতে পারছি না! আমাদের গবেষণাগার এর সব তথ্যও নষ্ট হয়ে গেছে!!! সিস্টেম ক্রাশ হয়েছে!   থামল রোবটটি

-  আমি দুঃখিত অনেক গুলো দুঃসংবাদ আমাকে এক সাথে দিতে হল!

এলেক্সের চোখে মুখে হতাশা! তার চোখের লাল লাইট জ্বলে উঠল! বুঝাই যাচ্ছে এলেক্স খুব রাগান্বিত এবং চিন্তিত!

এবার চারি দিকে ম্রিদু গুঞ্জন! কিভাবে সম্ভব? অসম্ভব! চলল ফিসফাস! 

অসম্ভব! অসম্ভব!  অসম্ভব!

এবার চেঁচিয়ে উঠল সি¤পটেনিয়া গ্রহের ল্যাব কন্ট্রোলার রোবট মিকি-মাইস!  - টা কিভাবে সম্ভব হল? পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল না! যারা জীবিত, তারা বন্দী এবং আমরা তাদের ব্রেন  নিয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছি! তাহলে কোন রকম পুর্বাভাস ছাড়াই মানুষ কিভাবে জম্ম নিল? কিভাবে তারা সংঘঠিত হল? কিভাবে তারা আমাদের চোখের আড়ালে আমাদের প্রযুক্তির চাইতেও বেশী কিছু অর্জন করল?

আজ পৃথিবী সহ আরও ১০-১২ টি গ্রহ আমাদের  করুণায় চলে!!! আমরাই ছিলাম প্রযুক্তিতে সেরা! যে কারনে ৪০২৯ সালে আমরা পৃথিবীকে মাত্র ঘণ্টায় দখল করেছিলাম! 


-  কিন্তু মানুষের  জম্মের বিষয়টি আমাদের হাতে ছিল না!  বলে উঠল দ্বিতীয় সারির একটি রোবট পল!
তার গায়ে মরিচা পড়া! তার গায়ে ইলেকট্রনিক চিপ গুলোও বের হয়ে আসছে!  অনেক আগের রোবট! একেবারে প্রথম প্রজম্মের! অনেকটায় অবহেলিত রোবটটি! কিন্তু বুদ্ধিজীবী রোবট  হিসাবে তার সুনাম আছে! পল আবার বলা শুরু করল


 - আমরা মানুষের জীবন কে নিয়ন্ত্রন করে পারিনা! কারন আমরা কাউকে জীবন দিতে পারিনা! এবং তা রোধ করতে পারি না! মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে কোন প্রযুক্তির সাথে তুলনা করা যাবে না! তাদের ব্রেইনের সেল গুলোর রহস্য আমরা এখনও বের করতে পারিনি! আর মানুষের জীবনের পরিধি ছোট, তাই তাদের এত সময় নেই! আমরা একটি এক্সপেরিমেন্ট করতে বছরের পর বছর পার করি, কারন
আমাদের জীবনের কোন সীমা নেই! সময়ের অভাব নেই! কিন্তু মানুষের তা আছে, তাই তারা তাদের সমস্যা খুব দ্রুত সারিয়ে উঠতে মরিয়া হয়ে উঠে! আর আমরা তা করি অনেক দেরিতে এইজন্য মানুষের  কর্ম ক্ষমতাও একটু বেশি, আমি বলতে চাইছি তাদের চিন্তা শক্তি আসলেই অনেক বেশি

এলেক্স উত্তেজিত স্বরে বলে উঠল! ঠিক আছে বুঝলাম তাদের ব্রেইন এর পরীক্ষায় এখনো আমরা এখনো সফল হইনি! কিন্তু তারা আমাদের চেয়েও প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেল কিভাবে? কিভাবেই বা আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা আজ আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠার সাহস পেল???
 হাউ?????  হাউ?????  হাউ?????  টেবিল চাপরে চিৎকার করছে এলেক্স!!!  প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত!!!

- কারন তারা সংগঠিত  হয়েছিল আমাদের আড়ালে! বলল সামনের সারির মেয়েলী প্রোগ্রামার রোবট মেরি!
-       কিভাবে?
-   তারা আমাদের আড়ালেই সব করছে! কারন তারা আমাদের সমগ্র সিস্টেম হ্যাক করেছিল !!!!  যা এতদিন আমরা কেউ বুঝতে পারিনি!

-   তাহলে এতদিন আমাদের  লাইভ ভিডিও কন্ট্রলারে যা দেখেছি? ওই গুলো      কি মিথ্যা??? রাগে গিজ গিজ করছে এলেক্স!!!

-  জি স্যার, ঠিকই ধরেছেন! আমরা এতদিন যা  দেখে আসছিলাম তা আসলে একটি ফাঁদ! মানুষ তাদের জন্য রোবট বানিয়েছে! ঠিক আমাদের ল্যাব রোবট সি¤িপ এর মতই! সব কিছু হবহু কপি করা  হয়েছে! যার কারনে এতদিন বুঝা যায়নি! আমরা আসলে একটা  র্ট্যাপের শিকার!!!

-  তার মানে? কি বলতে চাও তুমি???
-  স্যার, তার মানে হল আমরা এতদিন যা কন্ট্রোল করতাম! যা দেখতাম সবই আসলে ফেইক! মানুষরা আসলে এতদিন আমাদের নিয়ে খেলা করছে! তারা আমাদের সিস্টেম হ্যাক করে আমাদের বোকা বানিয়েছে! আর তারা প্রতিনিয়ত আমাদের কেই কন্ট্রোল করে যাচ্ছে! তারাই নিয়ন্ত্রন করছে আমাদের প্রোগ্রাম!

এলেক্স বসে পড়ল!





তার মানে, আমরা মানুষদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করিনি! তাহলে কি এত দিন আমরাই মানুষের এক্সপেরিমেন্টের অংশ ছিলাম????? আমাদের কে বানাল তাহলে?   তাহলে আমরা কি মানুষের হাতে বানানো একটি যন্ত্র মাত্র? এই বার নিষিদ্ধ প্রশ্নটি করে বসল একটি রোবট!
- ঠিক তাই জবাব দিল মেরি!
এলেক্স কে এখন আর ভয় পাচ্ছে না কেউ! কারণ সবার জানা হয়ে গেছে তাদের পরিণতি ¤পর্কে! 
হঠাৎ বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনা গেল! সাইরেন শোনা যাচ্ছে! সবাই চিৎকার করছে!  তার মানে মানুষের মহাকাশ যান ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছে সি¤পটেনিয়া গ্রহে!!!  এলেক্স নির্বিকার হয়ে বসে আছে!
হয়ত একটু পরই এলেক্স শেষ হয়ে যাবে! সিম্পটেনিয়া হবে দ্বিতীয় পৃথিবী! এখানের সব রোবট হবে মানুষের দাস!!!  আসলে যতই প্রযুক্তির  উন্নতি হোক না কেন, মানুষের মস্তিকের এই সীমাহীন ক্ষমতা সবার অগোচরই থেকে গেছে! হয়ত এই রহস্য সয়ং বিধাতা ছাড়া আর কেউ আবিষ্কার করতেপারবেনা! তাই মানুষ তার এই ক্ষমতা দিয়ে ধংসস্তুপ থেকে আবার উঠে দাঁড়ায় আবার যুদ্ধ
করে! মানুষের এই ব্রেনের কাছেই আজ হেরে গেল এতদিনের পরাক্রমশালী  রোবট সাম্রায্য! এরিয়া-৯৩ এর অপারেশন আর্থ  হল  ভবনের ছাঁদে ভীষণ শব্দে কেঁপে উঠল!!! মানুষের মহাকাশ
যান থেকে ফায়ারিং ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে!!! .........................

গুগলঃ শুধুই একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়(পর্ব-২)


 
গুগলের আজব দুনিয়ায় সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা। গুগল আসলেই একটি মজার দুনিয়া! যার হয়ত
সিংহভাগ ব্যবহার মানুষ জানে না। তাই গুগলের অনেক অজানা জিনিষ আপনাদের জানাতে গত
পর্বের পর আবারও হাজির হয়ে গেলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম গুগলের বেসিক কিছু জিনিষ।
আজ আমরা গুগলের সার্ভিস গুলো নিয়ে আলচনা করব। গুগলের জনপ্রিয় সার্ভিস গুলোর নাম গত
পর্বে দিয়েছিলাম। এবার সরাসরি আলোচনায় যাচ্ছি।



গুগল প্লাসঃ





ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী। শুধু ফেসবুকেই সমাধান নয়! যারা ফেসবুকে অনেকটাই বিরক্ত তারা বেঁছে নিতে পারেন গুগল প্লাসকে।  এর এজন্য আপনার একটি জিমেইল আইডি ই যথেষ্ট। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা, জিমেইলে একবার লগিন করলেই হবে। আপনাকে বার বার লগইন করতে হবে না। গুগল + এর ঠিকানাঃ https://plus.google.com  ফেসবুকের মতই এখানে আছে ফ্রেন্ড সার্কেল, ছবি, ভিডিও, শেয়ারিং, ট্যাগ, কমেন্ট, চ্যাটিং, সার্চ, নোটিফিকেশন , +১ (লাইক) ইত্যাদি। তবে গুগল+ এ ফেসবুকের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা যোগ করা হয়েছে! যেমন গ্রপ ভিডিও চ্যাটিং যা হ্যাঙআউটস নামে পরিচিত   , লোকেশন শেয়ার করা যায়। গুগল প্লাস থেকে যে কাউকে সরাসরি মেইল করা যাবে যা জিমেইলে পৌঁছে যাবে। আর গুগল প্লাস থেকে কোন ছবি যুক্ত করলে তা গুগল পিকাসার Scrapbook Photos এ্যালবামে যুক্ত হবে ।

আপনি যদি আপনার আইফোন বা এন্ড্রয়েডের ছবি তোলার সাথেই সাথে ব্যাকআপ রাখতে চান  তাহলে Automatic Upload ফিচারের সুবিধা নিতে পারেন। অটোমেটিক আপনার তোলা ছবি ক্লাউড সার্ভারে সেভ হয়ে যাবে তাও একেবারে ফ্রী! এছাড়া ফেসবুকের m.facebook.com এর মত গুগল + এর ও রয়েছে মোবাইল থেকে ব্যাবহারের সুবিধা। এজন্য আপনাকে  এই লিঙ্কে যেতে হবে m.google.com/plus  এ। এছাড়া  গুগল প্লাসে আছে ওয়েবসাইটে ফেড থেকে তথ্য দেখার ব্যবস্থা যা ¯পার্কস নামে পরিচিত ।  গুগল প্লাস  মজিলা ফায়ারফক্স, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, গুগল ক্রোম, এবং সাফারিতে সমর্থন করে।


ইউটিউবঃ

ইউটিউব (http://www.youtube.com)  ¤পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। এটি ভিডিও শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এতে সহজেই ভিডিও আপলোড, দেখা এবং শেয়ার করা যায়। অধিকাংশ মানুষই জানেন। তবে অনেকেই জানেন না, এটা একটি গুললের সার্ভিস। তবে আপনারা জেনে আশ্চার্য হবেন এবং গর্বিত হবেন যে ইউটিউব আমাদের  বাংলাদেশেরই এক মেধাবী ছেলের বানানো সাইট। এই ছেলেটির নাম জাওয়েদ করিম। তার স¤পর্কে উইকিপিডিয়ার এই পেজ থেকে জানতে পারেন http://en.wikipedia.org/wiki/Jawed_Karim. আর এইখানে জেনে আসতে পারেন ইউটিউবের হিস্ট্রি http://bit.ly/N0i8aj

জাওয়েদ করিম  ১৯৭৯ সালে পূর্ব জার্মানীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নাইমুল ইসলাম, তিনি একজন বাংলাদেশী গবেষক। ২০০৫ সাল ফেব্রয়ারির ১৪ তারিখে ইউটিউব ডটকম নামে ডোমেইন নিবন্ধন করে ফেললেন জাওয়েদ করিম ও তার দুই সহযোগী Chad Hurley এবং Steve Chen । ডোমেইন নাম নিবন্ধনের পর তরুণ এ তিন প্রকৌশলী হাত লাগালেন সাইটটির ডিজাইনের কাজে। একই বছরের ২৩ এপ্রিলে  ME AT ZOO  নামক প্রথম ভিডিওটি আপলোড করেন জাওয়েদ করিম নিজে।
ভিডিওতে সান দিয়েগো পার্কে হাতিশালায় দাঁড়ানো তার নিজের একটি ভিডিও আপলোড করে শুরু করলেন ভিডিও শেয়ারিং। ভিডিওটি ১৮ সেকেন্ডের। মে মাসে সাইটটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ উন্মুক্ত করলেন তারা। পরীক্ষামূলক সংস্করণে ব্যবহারকারীদের ব্যাপক সাড়া পেলেন তারা। দিন দিন বাড়তেই থাকলো ইউটিউবের ব্যবহারকারী সংখ্যা।
২০০৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করলো স্কুইয়া ক্যাপিটাল। জুলাইয়ে প্রতিদিন সাইটটিতে ৬৫ হাজার ভিডিও আপলোড ঘোষণা দিলো প্রতিষ্ঠানটি। অক্টোবরে ১৬৫ কোটি ডলারে ইউটিউব কিনে নেয়ার ঘোষণা দিলো সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল ইনকর্পোরেশন। ইউটিউব ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্তভাবে স¤পাদন হলো একই বছরের নভেম্বরের ১৩ তারিখে। ইউটিউবের ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের শেয়ার পেলেন জাওয়েদ। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই ৬শ কোটি ভিডিও দেখেছেন ব্যবহারকারীরা। অ্যালেক্সা র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে ইউটিউব রয়েছে  ৩য়  অবস্থানে।

গুগল ডার্টঃ
গত ১৪ নভেম্বর ১০১৩ গুগল উম্মচন করেছে  ডার্ট-১.০.  এটি গুগল কতৃক ডেভেলপকৃত নতুন একটি ওয়েব প্রোগ্রামিং ল্যাক্সগুয়েজ! যা জাভাস্ক্রিপ্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। জাভাস্ক্রিপ্টের বিভিন্ন দুর্বলতা এখানে ওভারকাম করা হয়েছে সেই সাথে পাওয়া যাবে আরও অসংখ্য নতুন সুবিধা! ল্যাক্সগুয়েজ টি শিখাও অনেক সহজ। গুগল এটির কাজ শুরু করেছিল ২০১১ সালে।  এই প্রকল্পের পরিচালক এবং প্রোগ্রামার লার্স বাক ডার্টের নামানুসারে এর নাম করন করা হয় ডার্ট। ডার্ট স¤পর্কে আরও  বিস্তারিত তথ্য জানতে  এইখানে  যান http://bit.ly/1oEt9u4

ডার্ট ল্যাক্সগুয়েজ সাইটে ওপেন সোর্স টুলভিত্তিক ডার্ট প্রোগ্রাম লেখা, কোড স্যা¤পল, টিউটোরিয়াল প্রভৃতি পাওয়া যাবে। ডার্ট স¤পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক  https://www.dartlang.org/.  আর ডার্ট শিখতে এইখানে  গিয়ে শিখতে পারেন - https://www.dartlang.org/docs/tutorials/


ঘুরে আসুন চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহ থেকে


গুগল মুন







আমাদের অনেকেরই চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছা, দেখার ইচ্ছা। ছোট বেলায় চাঁদের বুড়ির কত গল্প শুনেছি!
পড়েছি কত সায়েন্স ফিকশন। যা দুধের স্বাদ ঘোলাই মিটানো আরকি। কিন্তু যেখানে গুগল আছে
সেখানে রুপ কথার কোন ভ্যালু নাই। আপনি সত্যি সত্যি এইবার চাঁদে ঘুরে আসতে পারবেন। 
http://www.google.com/moon/   যান। এইবার চাঁদকে দেখুন! চাঁদে হেঁটে বেড়ান,
ঘুরুন!  এখানে রয়েছে চাঁদে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত চলমান পথের দৃশ্যপট৷, রয়েছে এ্যাপোলো
অভিযানে তোলা নাসা'র সরবরাহ করা চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিডিও চিত্র আর অসংখ্য অসংখ্য ছবি৷ এছাড়া
থাকছে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা চাঁদের আরো হরেক চেহারা৷ আর অনলাইনে চাঁদে অভিযানের
এই নতুন যাত্রার বিবরণ দিয়েছেন এ্যাপোলো কর্মসূচির নভোযাত্রী জ্যাক স্মিট ও নভোযাত্রী এডুইন
অল্ড্রিন। কিভাবে ব্যবহার করবেন তা এই খান থেকে দেখে নিন
https://support.google.com/maps/answer/91511?hl=en|

গুগল মার্স
ঘুরে আসুন মঙ্গল গ্রহ থেকে। অবতরন করুন মঙ্গল পৃষ্টে আর দেখুন   বিভিন্ন উতস থেকে সংগ্রহ
করা মঙ্গল গ্রহের ছবি পাবেন এইখানে। এটি  গুগল আর্থ ভিত্তিক সার্ভিস । ব্রাউজারে দ্বিমাত্রিক হলেও
গুগল আর্থে হাই রেজুলেশন ত্রিমাত্রিক ছবি দেখতে পাবেন আপনি। একটু ঘাটাঘাটি করলেই অনেক
মজা পাবেন।

দেখতে চাইলে http://www.google.com/mars/ 


গুগল ড্রাইভঃ
গুগল ড্রাইভ নাম শুনেই নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন। হ্যাঁ, এটি একটি ড্রাইভ ঠিক আপনার
পিসিতে যেমন বিভিন্ন ড্রাইভ থাকে তেমন। গুগল ড্রাইভ  হচ্ছে গুগলের  ফ্রী ¯েপস সার্ভিস যার
মধ্যে আপনি আপনার সকল প্রয়োজনীয় ফাইল সমূহ,প্রেজেন্টেশনস, ছবি, ভিডিও ক্লিপসহ আরো
অনেক কিছুনিরাপদে সংরক্ষন করতে পারবেন এবং অন্যদের শেয়ারকরতে পারবেন। প্রয়োজনে
পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন করে পুনরায় সংরক্ষন করতে পারবেন।   সুতরাং  আপনার
অতি প্রয়েজনীয় ফাইল সমূহ গুগল ড্রাইভে রেখে দিন। তাতে আপনার পিসি ক্রাশ করলেও আপনার
সকল তথ্য থাকবে নিরাপদে। এই লিঙ্কে https://drive.google.com/  /  গিয়ে  আপনার গুগল ড্রাইভ
ডাওনলোড করুন তার পর ইন্সটল করুন। দেখবেন একটি ড্রাইভ তৈরি হয়েছে! এইবার শুধু মাত্র
এই ড্রাইভে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল রাখুন, তা আপলোড হয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই নেট
কানেকশন লাগবে। আর একটি জিমেইল আইডি।

গুগল ব্লগার
আমাদের অনেকেই আছি, যারা লেখালেখি করতে ভালবাসি। অথচ নিজস্ব একটি সাইট নেই!
আফসুস করার দিন শেষ!!! আপনার জন্য আছে গুগল ব্লগার! এইখানে আপনার একটি নিজস্ব সাইট
বানিয়ে ফেলতে পারেন এক তুড়িতেই!!! এজন্য দরকার আপনার একটি জিমেইল আইডি। আর
এখানে আপনাকে সাইটের  সিকিউরিটি নিয়ে ভাবতে হবে না! ওই টেনশন গুগলক দিয়ে দিন! আর
যেখানে গুগল আপনার টেনশন  করছে, সেখানে আপনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারেন। ব্লগারে
অসংখ্য ফ্রি থীম পাবেন যা আপনি পরিবর্তন করে নিজের মত পরিবর্তন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে
http://www.blogger.com এ যেতে হবে, তার পর আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগিন করতে
হবে। এর পর তৈরি করে ফেলুন আপনার ব্লগিং সাইট। যারা ব্লগারে সাইট বানাতে পারেন না, তারা
এই টিউটোরিয়াল দেখেন http://bit.ly/1qovJZ1

গুগল ট্রান্সলেট
গুগল ট্রান্সলেট  গুগলের একট অসাধারণ সার্ভিস । এটি দিয়ে আমরা পৃথিবীর অন্য দেশের ভাষাকে
খুব সহজেই নিজের ভাষায় অনুবাদ করে পড়তে পারি। বর্তমানে বাংলা ভাষাসহ বিশ্বের প্রায় ৫০ টি
ভাষায় ট্রান্সলেট করা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভাষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। গুগল ট্রান্সলেট
ঠিকানা : http://translate.google.com

গুগল ম্যাপঃ
আগে আমারা ব্যবহার করতাম কাগজের ম্যাপ। কিন্তু এখন কাগুজে ম্যাপের দিন শেষ। প্রযুক্তি সব
কিছু এনেছে আমাদের হাতের মোটয়। এই ঠিকানায় গিয়ে http://maps.google.com  সার্চ বক্সে
আপনার লোকেশন টাইপ করুন  আপনি আপনাকে গন্তব্য দেখিয়ে দেবে গুগল ম্যাপ । ধরুন আপনি
ঢাকার ফারমগেট যেতে চান। তাহলে লিখুন Framgate Dhaka এর  পর এন্টার করুন। এখন দেখুন
আপনাকে ফার্মগেটের পুরো ম্যাপ দেখাচ্ছে। আপনি দুইভাবে দেখতে পারেন। ম্যাপ ভিউ, এবং আর্থ
ভিউ! এইবার ধরুন, আপনি ঢাকায় নতুন এসেছে। তো আপনাকে যেতে হবে নীল ক্ষেত। আপনি
এখন ফার্ম গেটে অবস্থান করছেন। এখন আপনি সাহায্য নিন গুগল ম্যাপের। আপনার মোবাইলে বা
ল্যাপটপে বা পিসি থেকে গুগল ম্যাপে ঢুকুন।  তারপর দেখুন সার্চ বক্সের নিচে আছে উরৎবপঃরড়হ 
অইখানে ক্লিক করুন। এর পর দেখুন এইখানে আপনার যেটা দরকার সেখানে আগে আপনি যেখানে
আছেন তার লোকেশন এবং যেখানে যেতে চান তার লোকেশন দিন। তার পর কার, বাস, বা পদচারী
চিহ্নে ক্লিক করুন।







আপনার কাক্সিক্ষত গন্তব্য পোঁছাতে আপনাকে ডিরেকশন দেওয়া হবে। আপনি যদি গাড়ির রাস্তায়
যেতে চান, তা আপনাকে দেখাবে, আপনি যদি হেঁটে যেতে চান তাও আপনাকে দেখাবে। এখানে
আপনাকে আপনার গন্তব্যে যেতে হলে কোন পথে যেতে হবে তা রাস্তা সহ দেখাবে। আপনার
লোকেশন অ,  ডেসটিনেশন লোকেশন ই. এছাড়া  গন্তব্যে যেতে কত সময় লাগবে, দূরত্ব সহ যাবতীয়
তথ্য দিয়ে দেবে। নিচের ছবি দেখুন 





XD এছাড়াও চমক আছে, গুগল ম্যাপে  এন্ড্রেয়েডে ব্যবাহার করার অ্যাপস  নেভিগেশন । গুগল প্লে
থেকে অ্যাপসটি নামিয়ে নিতে হবে। তারপর   ওইখানে গেলে এবং আপনার ফোনের জিপিএস চালু
করলে ন্যাভিগেশন আপনাকে  আপনার বর্তমান লোকেশন দেখাবে এবং আপনি যখন হাঁটবেন তখন
দেখবেন আপনার ফোনের ন্যাভিগেশন  (ম্যাপের উপড় তীর চিহ্ন ) ওইটাও মুভ হবে। 





এবার প্রবেশ করব গুগলের মজার জগতের আরো গভীরে। যারা শুধুমাত্র গুগলকে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে
ব্যবহার করে আসছেন, তারা সত্যি সত্যি অনেক মিস করছেন গুগলের এই আজব দুনিয়া। যাই
হউক , চলুন দেখা যাক গুগলের মজার কিছু সার্ভিস।

চলুন গিটার বাজাইঃ





অনেকেই আছেন, যাদের গিটারের অনেক শখ কিন্তু গিটার নেই বলে পুরন হচ্ছে না সেই স্বাদ। চিন্তা
কি গুগল আছে না? এবার গিটারের সুর তুলুন গুগল!!! এজন্য প্রথমে গুগলের মেইন হোম পেইজ
http://www.google.com  এ যান। এইবার সার্চ বক্সে টাইপ করুন, Google Guitar দিয়ে সার্চ
করুন, প্রথমে যে লিঙ্ক টা পাবেন ওইটা তে ঢুকুন বা সরাসরি এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন
http://elgoog.im/guitar/  এইবার সার্চ বক্সে আপনি টাইপ করলেই একেক সুরে বাজবে আপনার
গিটারের সুর!  যদি চান হ্যপি বার্থ ডের সুর তুলবেন, তাহলে টাইপ করুন- ১ ২ ১ ৪ ৩     ১ ১ ২ ১
৫ ৪    ১ ১ ৮ ৬ ৪ ৩ ২    ৮ ৮ ৭ ৫ ৬ ৫ । আপনি কোন ¯েপস ছাড়াই টাইপ করুন। আর আপনারা
মাউসের  কার্সর টা গিটারের তারে নিয়ে গেলেই তা বাজতে থাকবে।  যদি চান আপনার সুর রেকর্ড
করতে তাহলে দেখুন গুগল গিটারের নিচে একটা রেকর্ড বাটন আছে। ওইটাতে ক্লিক করুন!
আপনার রেকর্ডিং শুরু হয়ে যাবে। এর পর স্টপ করে প্লে করে শুনতে পারবেন আপনার তোলা সুর!
গুগল গিটারের লেসন এবং বিভিন্ন গানের কোড পেতে এই লিঙ্কে http://goo.gl/Ardhr  যান। আর
এনজয় করুন গুগল গিটার ! সুর তুলুন গিটারে হয়ে যান রকস্টার !!!


Google Gravity:
গুগল মধ্যাকার্ষন শক্তি হারিয়ে ফেলেছে!!! বিশ্বাস হয় না? তাহলে এই লিঙ্কে যান
http://www.elgoog.im/gravity/     আর দেখুন গুগল তার মধ্যাকার্ষন শক্তি হারিয়ে ভেঙ্গে
পড়েছে!!!!

Google Hacker:
কি চমকে উঠলেন? হুম, আপনারা জানেন , হ্যাকাররা লীড ওয়ার্ড ব্যাবহার করে। যা জন সাধারনের
বোধগম্য হয় না বেশির ভাগ সময়! গুগল যদি হ্যাকারদের হাতে তৈরি হত তাহলে দেখতে হত? দেখে
নিন এইখানে https://www.google.com/?hl=xx-hacker 

Google Raibow
গুগল যদি রংধনু ময় হতো তাহলে কেমন হতো? এই লিঙ্কে যান http://seetherainbow.com/  আর
রংধনুর রঙ্গে মাতুন।

Google Sphere:
গুগল এ ঘুর্নিঝড় উঠেছে!!! দেখুন গুগল যেন প্রানশক্তি ফিরে পেয়েছে। গুগল কে কেন্দ্র করে কেমন
বৃত্তে তারা ঘুরছে!  এই লিঙ্কে http://seetherainbow.com/  যান, তার পর মাউস নাড়াচাড়া করুন
আর মজা নিন।

Google Mirror
এই লিঙ্কে  http://elgoog.im   যান। কি মাথা খারাপ হয়ে গেল??? দেখুন সব উলটপালট হয়ে
যাচ্ছে!!! সার্চ বক্সে কিছু সার্চ করুন, আরও মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।

Pacman
গুগলে খেলুন চধপসধহ.  এই লিঙ্কে  http://elgoog.im/packman  যান আর ইনসার্ট কয়েন দিয়ে
গেম খেলতে থাকুন।

Google Under Water
সমুদ্রের নীচে ডলফিন, হাঙর দের সাথে  গুগল!!! বিশ্বাস হয়না??? তাহলে এই লিঙ্কে গিয়ে দেখুন
http://elgoog .  সার্চ বক্সে কিছু সার্চ করুন আর মজা নিন!

Google snap
গুগলে সাপ!!! হাহাহা, কথা সত্য! এক সময় আমরা এই গেইমটি খেলতাম নকিয়া মোবাইলে, তখন
এন্ড্রয়েড ছিল না!  যাইহউক। http://elgoog.im/snake  এই লিঙ্কে গিয়ে মাঝখানে ক্লিক করে প্লে
করুন, আর কী-বোর্ডের এরো কী দিয়ে প্লে করুন, আর মজা নিন!!! 

Epic Google:
কি হচ্ছে গুগলে এসব!!! একটু গিয়ে দেখে আসুন তো। http://www.toobigtouse.com


আর কিছু বলব না, নিচের লিঙ্কগুলো তে যান, আর মজা নিন
Google Terminal:  http://elgoog.im/terminal
 Google Loco: http://www.thatsco.com
Annoying Google: http://www.donttyperlikethis.com
 Google Magic: http://www.darkartsmedia.com/google.html
Weenie Google: http://www.toosmaltouse.com

গুগলের আরও অসংখ্য হিডেন সার্ভিস আছে, যার নাম অধিকাংশ মানুষই জানে না! বেশি বড় করলে
অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তাই আজ এটুকুই! পরের পর্বেও যথারীতি থাকবে গুগলের আজব
দুনিয়ার অবাক করা সব সেবা, যা হয়ত আপনাদের অগোচরেই থেকে গেছে এতদিন! 
আজ বিদায়! সবাই কে পরের পর্বের অগ্রিম শুভেচ্ছা । ধন্যবাদ।  হ্যাপি গুগলিং